Mangrove Forest. সুন্দরবনে নতুন চর সুনসানচর.Mangrove forest new Iland sunsanchar Char. Part-01
সুন্দরবন বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সোন্দর্যের এক অপার লীলাভুমি। এখানে যত বারই আসবেন এর সৌন্দর্য ততবারই আরও নতুন রুপে আত্মপ্রকাশ করে। সুন্দরবনের রুপ মানুষকে বিমোহিত না করে পারে না।বন্ধুরা আজ আপনাদের গহীন সুন্দরবনের নামহীণ এক চরের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব। এই চরের নামকরন নিয়ে স্থানীয় ট্যুর গাইড হিসেবে পরিচিত এবং অবসরপ্রাপ্ত বনবিভাগের কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ ওরফে রাঙ্গা কালাম ওরফে কালাম ফরেস্টার চাকুরীর সুবাদে এই বনের বিভিন্ন স্থানগুলো তার নখদর্পনে। তিনি জানিয়েছেন এই চরের কোন নামকরন করা হয় নাই। সরকারী হিসেবেও নামহীন এক চর হিসেবে সুন্দরবন পরিচয়ে আছে।
সৌন্দর্যে টইটুম্বুর। যা যেকোন নিরস মনের মানুষকেও পুলকিত করবে। এরকম একটি চরের নাম থাকবে না তা কি করে হয়। কালাম ফরেস্টারের অনুরোধে দে-ছুট এর পক্ষ হতে চরটির নাম দেয়া হয় সুনসান চর।
সুনসান চর হরিনেণর বিচরন স্থল। অসংখ্য হরিণের পায়ের ছাপ দেখতে পাবেন। লঞ্চ হতেই হরিণের পালের সাক্ষাত পাবেন।
কালাম ফরেষ্টারের ভাষ্যমতে পর্যটক হিসেবে দে-ছুট এর ভ্রমণ বন্ধুরাই প্রথম অবতরণ করল । স্বাভাবিকভাবেই নতুন আবিস্কারের উত্তেজনা।
চরের পরিবেশ সুনসান নিস্তব্ধ । সুন্দরী, কেওড়া,বাইন, খলশি সহ গোলপাতা গাছে ভরা। মাটি ফুড়ে দন্ডায়মান শ্বাসমূল যেন বলছে স্বাগতম হে অতিথি। এই চরে চঞ্চলা হরিণের ছুটে বেড়ানোর দৃশ্য দেখে আপনার মন ও চঞ্চলা হতে বাধ্য।
সম্মানিত দর্শক আমরা এই চরে গিয়েছিলাম যখন বুলবুলের ১০ মহা বিপদ সংকেত ছিল। সভাবতই বৃষ্টির কারনে হরিনের দেখা কম পেয়েছিলাম। আমাদের লঞ্চের শব্দ শুনেই তারা জঙ্গলের ভেতরে চলে যায়। বৃষ্টির কারনে ক্যামেরা বন্দী করতে পারি নাই।